
আজ অলির ICSE পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবে। কিন্তু অলিকে দেখে কেউ বলবেনা যে আর কিছুক্ষনের মধ্যেই জীবনের প্রথম কোন বড় পরীক্ষার রেজাল্ট বের হতে চলেছে। এখনও অলি ইন্টারনেটে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাটিং করছে আর মোবাইল ফোন কানে দিয়ে বসে বসে হাসি ঠাট্টা করে চলেছে। রক্তিমা অবাক চোখে অলির দিকে চেয়ে থাকে আর মনে মনে ভাবে যুগের কত পরিবর্তন ঘটে গেছে।
রক্তিমার মনে পড়ে যায় পুরনো দিন গুলোর কথা। যেদিন তার মাধ্যমিকের রেজাল্ট বের হলো সেই বিশেষ দিনটির কথা। এখন ভাবলে রক্তিমার হাসি পায়। সেইদিন সকালে ভয়ের চোটে ঘরের দরজা বন্ধ করে বসেছিল রক্তিমা। মা বাবা ডেকে ডেকে সারা হয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু রক্তিমা কিছুতেই দরজা খোলেনি। অথচ এমন নয় যে রক্তিমা পড়াশোনায় খারাপ মেয়ে ছিল। জীবনের প্রথম রেজাল্টের দিনটিতে রক্তিমা ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। শুধু যে তারই এমন হয়েছিল তা নয় তার অন্যান্য বন্ধুদেরও অবস্থা তারই মতই ছিল। রক্তিমা এতটাই ভয় পেয়েছিল যে রেজাল্ট টা নিজে জানতেই যেতে পারেনি। তার বাবাই গিয়ে স্কুল থেকে তার রেজাল্ট জেনে এসেছিলেন। রক্তিমা পাঁচটি বিষয় লেটারসহ স্টার মার্ক্স পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছিল।
অলির ডাকে রক্তিমার ভাবনায় ছেদ পড়ল।“মাম্মা মাম্মা তাড়াতাড়ি খেতে দাও খেতে দাও এখুনি লিসা, রায়না, তৃষিতারা চলে আসবে মাম্মা আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে যাব রেজাল্ট জানতে। রক্তিমা খানিক্ষন অলির দিকে চেয়ে থেকে অলিকে জিজ্ঞেস করে, “হ্যাঁরে অলি তোর একটুও ভয় করছেনা রেজাল্টের জন্যে?” অলি খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে, “ও কাম ওন মাম্মা, অলি মুখার্জ্জি যে কিনা ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল সে পাবে ভয়? I’m confident mamma,” বলে লাফাতে লাফাতে ডাইনিং টেবিলে বসে “খেতে দাও খেতে দাও” বলে চেঁচাতে থাকে। রক্তিমা রান্নাঘরে যায় অলির খাবার আনতে।
অলির বাড়িতে আজ তুমুল হইচই। অলি ICSE তে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে। অলির সব বন্ধুরা বাড়িতে এসেছে আজকে অলিকে অভিনন্দন জানানোর জন্যে। আত্মীয়স্বজন বন্ধুবাধবদেরও একের পর এক ফোন এসে চলেছে অলিকে অভিনন্দন জানানোর জন্যে। রক্তিমাও খুব ব্যস্ত হয়ে চারিদিকে ছোটাছুটি করছে। অলির মা হিসাবে রক্তিমা আজ ভীষন গর্বিত। রক্তিমা মনে মনে অলির নিজের সম্পর্কে আত্মপ্রত্যয় দেখে বিষ্মিত হয়। কত সহজে অলি বলেছিল যে ও ভাল রেজাল্ট করবেই।
বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। অলি ISCE তে সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছে। রক্তিমা বা দিব্যেন্দু কোন দিনই অলিকে পড়াশোনা নিয়ে জোর জবরদস্তি করেনি। অলি প্রথম থেকেই যেমন যেমন ভাবে পড়াশোনা করতে চেয়েছে ওরা মা বাবা হিসাবে তাই মেনে নিয়েছে। এখনও অলি নিজের ইচ্ছামতই পড়াশোনা করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু দিন যাবৎ রক্তিমা অলির মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করছে। অলি যেন হটাৎ কেমন পালটে যাচ্ছে। মা হিসাবে রক্তিমা বরাবরই অলির সঙ্গে একজন বন্ধুর মত মিশে এসেছে। সব রকম আলোচনা করেছে মেয়ের সঙ্গে। কিন্তু এখন হটাৎ করে অলি যেন কেমন দূরে সরে যাচ্ছে তার কাছ থেকে। যেহেতু কর্মসুত্রে দিব্যেন্দুকে বরাবর দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে তাই অলি বরাবরই দিব্যেন্দুর থেকে রক্তিমার সঙ্গেই বেশী ঘনিষ্ঠ। রক্তিমাকেই সব সময় বেশী আঁকড়ে থেকেছে অলি। কিন্তু আজ সেই অলির এমন হতাৎ পরিবর্তন রক্তিমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলল। আগে অলির বন্ধুবান্ধব বাড়ীতে এলে অলি আগে রক্তিমাকে ডেকে নিয়ে যেত তার বন্ধুদের সঙ্গে একসঙ্গে আড্ডা দেবার জন্যে। কিন্তু আজকাল বন্ধুরা এলে অলি তাদের নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। তারস্বরে মিউজিক সিস্টেম চালিয়ে বন্ধুদের নিয়ে পার্টি চলে তার। রক্তিমা কিছু বলতে গেলে অলি বলে, “মাম্মা প্লিজ এটা আমার পারসোনাল লাইফ এতে ইন্টারফেয়ার করোনা”। অবাক হয়ে যায় রক্তিমা মেয়ের কথা শুনে। সে কখন ভাবতে পারেনি যে সে কখনও তার মা বাবার সঙ্গে এইভাবে কথা বলবে। বিষ্মিত হয়ে যায় রক্তিমা অলির এরকম ব্যবহারে। অলির এরকম ব্যবহারের জন্যে বাড়িতে এই নিয়ে কয়েকবার বেশ অশান্তি হয়েছে। দিব্যেন্দুও অলির এরকম ব্যবহারে ভীষন বিরক্ত। মাঝে মাঝে দিব্যেন্দু রেগে গিয়ে রক্তিমা কে বলে, “অলি কিন্তু দিনে দিনে ভীষন বদলে যাচ্ছে। ওকে কিন্তু এবারে শাসন করা প্রয়োজন”। কিন্তু রক্তিমাই দিব্যেন্দু কে বার বার নিরস্ত করে এই বলে যে, “ মেয়ে এখন বড় হয়েছে। আজকালকার ছেলে মেয়েদের শাসন করার আগে ১০ বার ভাবতে হয়। বেশী বকাবকি করলে অন্য কিছু ঘটে যেতে পারে। ওকে সময় সুযোগ বুঝে ধীরে সুস্থে বোঝাতে হবে”। দিব্যেন্দু রক্তিমার কথায় চুপ করে যায়। ইদানিং অলি যতক্ষন বাড়িতে থাকে তার কানে মোবাইল ফোনটা সারাক্ষন থাকে। খেতে বসে তখনও কানে সেই মোবাইল ফোন। রক্তিমা এই নিয়ে রাগারাগি করলে উলটো ফল হয়। অলি রাগ করে খাবার ফেলে রেখে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে বসে থাকে।
এছাড়াও ইদানিং অলির এমন কিছু বন্ধু হয়েছে যাদের দেখলে রক্তিমার ভীষন খারাপ লাগে। অলির এই সব বন্ধু দের সাজ পোষাক রক্তিমার রুচিকে ভীষন ভাবে নাড়া দেয়। যে মেয়েগুলো অলির কাছে আসে তারা আধুনিকতার নামে এমন পোষাকআশাক পরে যে রক্তিমার রীতিমতো লজ্জা বোধ হয়। আর ছেলেগুলোর লম্বা লম্বা চুল সেগুলো আবার বেঁধে রাখা থাকে আর তাদের অধিকাংশেরই কানে দুল পরা। এরকম পোষাকআশাক যে একেবারে পাশ্চাত্য সভ্যতার জ্বলন্ত অনুকরণ তা রক্তিমা খুব ভাল করেই বোঝে। কিন্তু রক্তিমা এগুলোকে মোটেই ভাল চোখে দেখে না। তার এসব দেখে ভীষন বিরক্তবোধ হয়। অথচ অলিকে কিছু বলতে গেলেই প্রবল অশান্তি শুরু হয়ে যায়।
আজকাল রক্তিমা এও লক্ষ্য করছে যে অলি তার এই সব বন্ধুবান্ধব দের রীতিমতো অনুকরণ করতে শুরু করেছে। অলির পোশাকআশাকও আজকাল তার বন্ধুদের মতোই হয়ে উঠছে। রক্তিমা অলিকে তার পোশাক নিয়ে কয়েক বার বলতে গেলে অলি উত্তর দিয়েছে, “ come on mamma, এটাই এখনকার fashion”। রক্তিমা উগ্র আধুনিক এই fashion এর সঙ্গে নিজেকে কিছুতেই খাপ খাওয়াতে পারেনা।
আজ ৩১শে ডিসেম্বর। রক্তিমা আর দিব্যেন্দু ঠিক করে যে সন্ধ্যে বেলা অলিকে নিয়ে তারা এক সঙ্গে পার্ক স্ট্রিটে যাবে সন্ধ্যেটা সেখানে কাটিয়ে রাতে কোন ভাল রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে ফিরে আসবে। সেই মতো তারা সব ঠিকঠাক করে ফেলে। সন্ধ্যে বেলা হটাৎ অলি খুব উগ্র সেজে রক্তিমা আর দিব্যেন্দুর সামনে এসে দাঁড়ায়। অলির এরকম সাজ দেখে দিব্যেন্দু ভীষন রেগে যায়। অবিলম্বে অলিকে বলে ওই পোশাক পরিবর্তন করে আসবার জন্যে। ওইরকম পোশাক পরলে অলিকে নিয়ে দিব্যেন্দু বলে বাইরে যাবেনা। অলি সেকথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়ে। “কি বলছ তোমরা? তোমাদের সঙ্গে কোথায় যাব আমি? আমি তোমাদের সঙ্গে কোথাও যাচ্ছিনাতো। আমি আজকে আমার সব বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে ডিস্কো তে যাচ্ছি”। ঘরে যেন হটাৎ কোন বাজ পড়ল। দিব্যেন্দু চিৎকার করে উঠল, “ কি বললে তুমি? কোথায় যাবে? আমি বেঁচে থাকতে তোমাকে এইরকম অসভ্য হয়ে উঠতে কিছুতেই দেব না। খবরদার যদি বাড়ির বাইরে পা রেখেছ তোমাকে আমি আজকে মেরেই ফেলব”। দিব্যেন্দুর কথাগুলো শুনে অলিও পাগলের মতো চিৎকার শুরু করে দিল। “তোমরা আমাকে কুয়োর ব্যাং বানিয়ে রেখেছ। নিজেরা জগৎটাকে চিনবেনা আমাকেও চিনতে দেবে না। তোমরা যা পারো করো আমি আজকে যাবই ডিস্কোতে”। অলির এরকম ব্যবহারে দুব্যেন্দু দিশেহারা হয়ে পড়ে চ্যাঁচাতে গিয়ে হটাৎ বুক চেপে মাটিতে বসে পড়ে। অসহ্য যন্ত্রনায় দিব্যেন্দুর মুখ টা বেঁকে যায়। চিৎকার করে ওঠে রক্তিমা। পাগলের মতো ছুটোছুটি করে কাঁদতে থাকে। বিহবল হয়ে পড়ে রক্তিমা। কিছুই বুঝতে পারেনা কি করবে এমন দুঃসময়? কিন্তু এরকম পরিস্থিতি দেখে অলি কিন্তু ভেঙ্গে পড়ে না একটুও। সে ছুটে যায় ফোনের কাছে। সবার আগে তাদের ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান কে ফোন করে ডেকে পাঠায়। তাদের গাড়ীর ড্রাইভার কে খবর দেয় চলে আসার জন্যে তাড়াতাড়ি। তারপর ছুটে এসে দিব্যেন্দুর বুকে আলতো হাথে ম্যাসেজ করতে লাগল। রক্তিমা শুধু পাথরের মতো বসে থাকে। তার সামনে কি ঘটছে সেটুকুও তার বোধগম্য হয় না। ইতিমধ্যে অলি তার সব বন্ধু দের ফোন করে খবরটা জানিয়ে বলেছে সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়িতে চলে আস্তে। দেখতে দেখতে অলিদের বাড়ির ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানও চলে এলেন। অলির বন্ধুরাও চলে এসেছে সকলে। ওরা সবাই মিলে সঙ্গে সঙ্গে দিব্যেন্দুকে নিয়ে হসপিটালে ছুটল। দিব্যেন্দু কে হসপিটালে ভর্তি করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ICU তে নিয়ে চলে গেল। অলি হসপিটালের সমস্ত ফরমালিটি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সম্পাদন করল। সেই বিভীষিকাময় রাতটি এইভাবেই ধীরে ধীরে কাটতে লাগল। অলির বন্ধুরা সারাটা রাত ধরে তার পাশে রইল। যেসব মেয়েগুলোকে রক্তিমার উগ্র আধুনিক মনে হয়েছিল যাদের রক্তিমা এতটুকু পছন্দ করত না আজ সেই মেয়েগুলিই রক্তিমআর পাশে সারা রাত বসে থেকে রক্তিমাকে সাহস জুগিয়ে চলল। রক্তিমার মনে আজ তারাই স্নেহের স্পর্শ এনে দিল। যেসব ছেলেগুলোকে দেখে রক্তিমার রাগ হত আজ এমন দুঃসময় সেই ছেলেগুলোই একভাবে অলিকে সঙ্গ দিয়ে চলেছে। রক্তিমা অবাক হয়ে যায়।
এইভাবে ধীরে ধীরে সেই অভিশপ্ত রাত পার হল। ভোরবেলা ডাক্তার এসে রক্তিমাদের জানালেন যে দিব্যেন্দু আপাতত বিপদমুক্ত। যদিও কিছু পরীক্ষার জন্যে আর অবজেরভেশনের জন্যে তারা আরও কিছু দিন দিব্যেন্দুকে হসপিটালে রাখবেন।
সবে ভোর হচ্ছে। ওয়েটিং লাউঞ্জের জানালার কাছে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল রক্তিমা। প্রভাত সূর্য উঁকি দিচ্ছিল। রক্তিমা প্রত্যক্ষ করছিল নতুন বছরের নতুন সূর্যোদয়। আজকের ভোরে রক্তিমার মনে হলো তার যেন এক নবজন্ম ঘটল। এতদিন রক্তিমা যা যা ভেবে এসেছে যা যা মেনে এসেছে রক্তিমার মনে হলো এক ঝটকায় যেন তার চোখের সামনে সেই সব কিছুর পরিবর্তন ঘটে গেল একটা রাতের মধ্যে। অলিদের মতো আজকের প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের নিয়ে রক্তিমা যাকিছু কল্পনা করেছিল তার সবটাই ভুল। রক্তিমা বুঝল আজকের প্রজন্মের এই সব ছেলে মেয়েরা শুধুমাত্র বাইরে থেকেই বদলেছে অন্তর থেকে মন থেকে এরা কিন্তু এখনও তাদেরই মতো রয়ে গেছে। এদের মনেও সেই একই রকম ভালবাসা মমতা সব কিছুই রয়েছে। শুধুমাত্র বাহ্যিক পরিবর্তনটাই রক্তিমার মতো প্রাচীনপন্থী মানুষদের চোখে বার বার ধুলো দেয় আজকের প্রজন্মের সম্পর্কে।
রক্তিমার চোখে জল এসে গেল এতকিছু ভাবনা চিন্তায়। আস্তে আস্তে রক্তিমা ঘুরে দাঁড়াল। লাউঞ্জের চেয়ারে অলি চুপ করে চোখ বন্ধ করে বসে আছে। ধীর পায়ে রক্তিমা এগিয়ে গেল অলির দিকে। মমতা ভরা হাতটা অলির মাথায় রাখল। চোখ খুলল অলি। জড়িয়ে ধরল রক্তিমাকে। হাউ হাউ করে কেঁদে উঠল অলি। “মাম্মা আমাকে ক্ষমা করে দাও মাম্মা, আমি ভুল করেছি। আমি পাপাকে অপমান করেছি তাই আজ পাপার এমন হলো আমাকে ক্ষমা করে দাও মাম্মা”। মেয়েকে পরম স্নেহে জড়িয়ে ধরে রক্তিমা, “ দূর বোকা কাঁদছিস কেন? আজ ভাবত তুই না থাকলে তোর পাপার কি হতো? তোর মাম্মা তো দেখলি কেমন বোকার মতো হাঁ করে বসেছিল। আজকে আমার অলি না থাকলে পাপাকে আমি কি করে বাঁচাতাম রে অলি? অলি জানিস আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। আমাদের অনেকটাই ভুল আছেরে। আমরা তোদের আজকের যুগের ছেলে মেয়েদের শুধু বাইরেটাই দেখিরে মা তোদের ভেতরেও যে ঠিক আমাদেরই মতো মন আছে সেটা বুঝিনা। মা তুইও আমাদের ক্ষমা করে দিস রে মা”। বলে অলিকে আদরে আদরে ভরিয়ে তোলে রক্তিমা। তারপর মেয়ের দিকে চেয়ে বলে, “চল এখন আমরা বাড়ি যাই আবার বেলার দিকে একটু বিশ্রাম নিয়ে দুজনে আসব”। অলি ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল। মা এবং মেয়ে ভোরের নরম আলোয় আস্তে আস্তে হাঁটতে শুরু করল।